বাংলা বানানের নিয়ম icon

বাংলা বানানের নিয়ম

1.0

Bangla Academy Standard Spelling (bản dịch bangla banan & bangla)

App Information

Phiên bản
Cập nhật
08 th 09, 2024
Nhà phát triển
Lượt cài đặt
10.000+
App Description
লেখার ক্ষেত্রে আমরা বানান (bangla banan) নিয়ে প্রায় বিভ্রান্তিতে পড়ি। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বানানের নিয়ম জানা আবশ্যক। শুদ্ধ বানানের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে অর্থ-বিভ্রান্তি ঘটে এবং ভাষার সৌকর্য নষ্ট হয়। বাংলা বানানের রয়েছে সুপরিকল্পিত নিয়ম।
উনিশ শতকের আগে পর্যন্ত বাংলা বানানের (bangla banan) নিয়ম বলতে বিশেষ কিছু ছিল না। উনিশ শতকের সূচনায় যখন বাংলা সাহিত্যের (bengali language) আধুনিক পর্ব শুরু হলো, বাংলা সাহিত্যিক গদ্যের উন্মেষ হলো, তখন মোটামুটি সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুশাসন-অনুযায়ী বাংলা বানান নির্ধারিত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রভাবে বাংলা বানানরীতিতে সংস্কৃত শব্দ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলা ভাষায় বহু তৎসম অর্থাৎ সংস্কৃত শব্দ থাকলেও অর্ধ-তৎসম, তদ্‌ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের পরিমাণ কম নয়। অতৎসম শব্দ অর্থাৎ তদ্‌ভব, দেশি, বিদেশি, অর্ধ-তৎসম প্রভৃতি উৎস হতে প্রচুর শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে। এছাড়া রয়েছে তৎসম-অতৎসম প্রত্যয়, বিভক্তি, উপসর্গ ইত্যাদি সহযোগে গঠিত নানা রকমের মিশ্র শব্দ। ফলে অতৎসম শব্দের বানানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যার ফলে বানান নির্ধারিত হলেও বাংলা বানানের সমতাবিধান (bangla translation) সম্ভবপর হয়নি। তাছাড়া, বাংলা ভাষা (bengali language) ক্রমাগত সাধু রীতির নির্মোক ত্যাগ করে চলিত রূপ পরিগ্রহ করতে থাকে। তার উপর, অন্য অনেক ভাষার মতো বাংলারও লেখ্য রূপ সম্পূর্ণ ধ্বনিভিত্তিক নয়। তাই বাংলা বানানের অসুবিধাগুলি চলতেই থাকে।
এই অসুবিধা ও অসঙ্গতি দূর করার জন্য প্রথমে বিশ শতকের বিশের দশকে বিশ্বভারতী এবং পরে ত্রিশের দশকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বানানের (bangla banan) নিয়ম নির্ধারণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র-সহ অধিকাংশ পণ্ডিত ও লেখক সমর্থন করেন। এখন পর্যন্ত এই নিয়মই আদর্শ নিয়মরূপে মোটামুটি অনুসৃত হচ্ছে।
তবু বাংলা বানানের সম্পূর্ণ সমতা বা অভিন্নতা যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা নয়। বরং কালে কালে বাংলা বানানের (bangla translation) বিশৃঙ্খলা যেন বেড়ে গেছে। কতকগুলি শব্দের ক্ষেত্রে দেখা যায় নানা জনে নানা রকম বানান লিখছেন। বাংলার মতো উন্নত ভাষার পক্ষে এটি গৌরবের কথা নয়।
আধুনিক কালের দাবি অনুযায়ী, নানা বানানের যে-সব বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি আমরা দেখছি সেই পরিপ্রেক্ষিতে বানানের নিয়মগুলিকে আর একবার সূত্রবদ্ধ করার প্রয়োজন দেখা দেয়। বিশেষত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-নির্দেশিত (calcutta university) নিয়মে বিকল্প ছিল কিছু বেশি। বিকল্প হয়তো একেবারে পরিহার করা যাবে না, কিন্তু যথাসাধ্য তা কমিয়ে আনা দরকার। এইসব কারণে বাংলা একাডেমী (bangla academy) বাংলা বানানের বর্তমান নিয়ম নির্ধারণ করেছে।
১৯৪৭-এ দেশবিভাগ ও ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বাংলা বানান (bangla banan) নিয়ে নানা সুপারিশ ও নানা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৮৮ সালে বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে। বোর্ড এই নিয়ম প্রণয়ন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষার পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে ব্যবহারের জন্য। এরপর ১৯৯২ সালের এপ্রিলে বাংলা একাডেমি (bangla academy) কর্তৃক প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম নির্ধারণের যে উদ্যোগ গৃহীত হয়েছিলো তা ১৯৯৪ সালে চুড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta university) প্রণীত বানানরীতি ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রবর্তিত বানানরীতির সমন্বয়ে “বাংলা একাডেমি প্রমিত বানানরীতি” সময়ের দাবি অনুযায়ী যথার্থ।
২০০০ সালে এ নিয়মের কিছু সূত্র সংশোধিত হয় এবং তা “বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান”-এর পরিমার্জিত সংস্করণের পরিশিষ্ট হিসেবে মুদ্রিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের পাঠ্যপুস্তকে এবং সরকারি বিভিন্ন কাজে বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানরীতি (bangla translation) অনুসরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে “বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম” পর্যালোচনা করে ২০১২ সালে পুনরায় পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। “বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম” (word meaning in bengali) শীর্ষক পুস্তিকা ছাড়াও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত বাংলা বানানের নিয়ম বিস্তারিত আলোচনার পর এই “বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম”-এর পরিমার্জিত সংস্করণ চূড়ান্ত করা হয়।
আমরা আমাদের এই অ্যাপে “বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম” (word meaning in bengali) বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও ড. হায়াৎ মামুদ-এর “বাংলা লেখার নিয়মকানুন” পুস্তিকা ছাড়াও বাংলা বানানের অন্যান্য সহায়ক বই বিস্তারিত যুক্ত করেছি। আশা করি পাঠকমহল আমাদের এই অ্যাপ থেকে উপকৃত হবেন।
Đọc thêm